সাইবার সচেতনায় ফেসবুক পোষ্ট মুর্শিদাবাদ পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ স্মার্ট ফোন হাতে  সময়ের অধিকাংশটাই  কাটে ফেসবুকের দেওয়ালে। আর সেখানে আঙুলের একটি ছোঁয়ায় এই বন্ধু জুটে যাচ্ছে তো  পর মুহুর্তেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে কত বন্ধু।  সেখানেই যদি দেখেন আপনার জেলার কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক আপনাকে বন্ধুত্বের ডাক দিয়েছেন ফেসবুকে, তাহলে তো আহ্লাদের কথা। আর মানব মনের এই দিককে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ মজবুত করছে প্রতারকরা।ক্রাইম বা অপরাধ যে কত ধরনের আছে তা  তালিকা ধরে বলতে পারবে না পুলিশও। ডিজিটাল যুগে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে আরও। ইদানিং ডিপফেকও নাম কিনেছে প্রতারণার সাম্রাজ্যে। দাবি খোদ পুলিশ কর্তাদেরই। সম্প্রতি সেইসব প্রতারকদের সাহসের মাত্রাও লাগাম ছাড়িয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের প্রোফাইল ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে তারা। সেই প্রোফাইল থেকে পরিচিতদের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে চাওয়া হচ্ছে টাকা। পাল্টা কী এবং কেন জিজ্ঞাসা  না করে সরল বিশ্বাসে সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকে, পরে দেখছেন ভয়ানক ঠকে গেছেন। ততক্ষণে পাখি ফুড়ুৎ।

তবে রাজ্য পুলিশের মাথাদের ফেক প্রোফাইল তৈরি করার আগে ভার্চুয়াল  মাধ্যমে সীমান্তরক্ষীদের পদস্থ আধিকারিকদের নকল প্রোফাইল তৈরি করে হাত পাকিয়েছিল প্রতারকরা। সেখানে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হয়ে যাওয়ার গল্প বলে তার ব্যবহার করা কম্পিউটার, ফ্রিজের মতো সামগ্রী বিক্রি করতে চাইছেন বলে ফেসবুকে পোস্ট এখনও দেয় তারা। দর কষাকষির পর নামমাত্র দামেও  ক্রেতাকে সেসব বেচে দেওয়ার রফা করেন প্রতারকরা। তখনই ধীরে ধীরে পর্দা ওঠে প্রতারণার। সামগ্রী পাওয়ার আগেই তারা টাকা চেয়ে নেয়। বার কয়েক ভুল ঠিক হতে হতেই মাঝপথে যোগাযোগ বন্ধ। গায়েব হয়ে যাবে ব্যঙ্কে গচ্ছিত আপনার টাকা। এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ প্রশাসনের মাথাদেরও ইদানিং তারা লক্ষ্য করেছে বলে দাবি পুলিশের।

শহর বা গ্রাম নয়, এই ধরনের প্রতারণা জাল কোনও সীমানায় বাঁধা থাকছে না বলেই মত তাদের। তাই এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জন সাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে। সাইবার থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হেলায় হারাচ্ছেন প্রতারিতরা। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “এইরকম ঘটনা আকছার ঘটছে। ফেক প্রোফাইলের খবর আমাদের কাছেও আসছে। তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই আমরা ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছি। তাছাড়াও আমাদের পুলিশ আধিকারিকরা সব সময় সচেতন করেন সাধারণ মানুষকে।”