নদী পাড়ের মানুষজন কি রাজনীতির কারবারীদের হাতের গিনিপিগ !

উমর ফারুক : মুর্শিদাবাদ ৯ই সেপ্টেমবর – মুর্শিদাবাদের নদী পাড়ের মানুষজন কি রাজনীতির কারবারীদের হাতের গিনিপিগ ? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে দিন কয়েক থেকেই । বছরের পর বছর নদী ভাঙনে ছিন্নমূল হয় নদী পাড়ের মানুষজন।এমনকি জমি বাগান বাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবারই নি:স্ব হয়ে যান । আর ঠিক তখনই রাজনৈতিক কারবারীরা অসহায় মানুষজনের মন জয়ের জন্য নানান মনমোহিনী প্যাকেজ নিয়ে ময়দানে হাজির হন। কখনো মাস্টার প্লান কখনও বা নদী ভাঙন জাতীয় ইস্যু ঘোষণা করে নিজের দলের দিকে ঝোঁক টানার জন্য আস্তিন গোটান বড় থেকে ছোট সব রাজনৈতিক দাদারাই। আর কাজের কাজ ছিটে ফোঁটা হলেও অধিকাংশ টাকাটাই আত্মসাৎ হয়ে যায়।পাল্লা দিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপান উতোর।অতীতেত সেই ট্রাডিশন সমানেই চলছে।মাস খানেক ধরে শুরু হয়েছে সামসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গার ধারে নদী ভাঙন। রাজ্যের শাসক দল এই এলাকার ভাঙন রোধের কাজে কেন্দ্র সরকার ও তার নিয়ন্ত্রাণাধীন ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ না করার জন্যে । অভিযোগ তুলেই চুপ থাকেন নি সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।তিনি সামসেরগঞ্জ থেকে দলবল জুটিয়ে ফরাক্কার জিএম অফিসের সামনে আম্দোলনেও বসেন। ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার শৈবাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সামসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত এলাকা ফরাক্কা ব্যারেজের নিয়ন্ত্রাধীন এলাকার মধ্যে পড়ছে না। ফলে সেখানে ফরাক্কা ব্যারেজের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধের কাজের কোনই সম্ভাবনাই নেই। তিন বছর আগেই রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ২০০৮ সালে ধানঘরায় স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধের যে কাজ হয়েছিল সেই কাজ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব কার ছিল ? বছর দুয়েক ধরে ধানঘরায় একটু একটু করে ভাঙতে শুরু করলেও সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি কেন ? কেন ভরা নদীতে এই মুহূর্তে বালির বস্তা ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করা হচ্ছে ? কেন ভাঙনে সর্বশ্রান্ত মানুষজনের জন্য স্থায়ী বা অস্থায়ী বসবাসের কোন ব্যবস্থা করা হচ্ছে না ? এই মুহূর্তে চাল চুলোহীন অসহায় মানুষগুলোর জন্য নিয়মিত রান্না করা খাবারে ব্যবস্থা করতে কি পারে না সরকার ?