রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বল্লালপুর ট্রেন দুর্ঘটনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরাক্কাঃ একটানা ১৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ বল্লালপুর স্টেশনে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ ফরাক্কার কাছে বল্লালপুর স্টেশনে ঢোকার আগে আপ ও ডাউন লাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে ধাক্কা মারে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। রেলের ইঞ্জিন বেলাইন হয়ে গেলেও বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান যাত্রীরা। মুহুর্তে স্মৃতিতে ভেসে ওঠে ওড়িশার বালাসোরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ছবি। বল্লালপুরের ট্রেন দুর্ঘটনাও তুলে আনল বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। যদিও তার উত্তর মিলছে না। রেল যাত্রী আশিস সরকার বলেন, “ভাগ্য ভালো ট্রেন চালক সঠিক সময়ে ব্রেকটা কষে ছিলেন। তা না হলে কি যে হত, ভেবে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”

এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন রেলের আধিকারিকরা, জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। দুর্ঘটনার জেরে যেমন ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায় তেমনি উপরে যায় রেল লাইনও। যদিও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার কারণে এদিন দুপুর পর্যন্ত একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। পূর্ব রেলের ডিআরএম বিকাশ চৌবে বলেন,বেলা দেড়টা নাগাদ রেল লাইন ঠিক হয়। তারপরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বল্লালপুর সেতুর প্রায় ২০ মিটার নীচ দিয়ে সর্পিলাকারে চলে গিয়েছে সমান্তরাল রেল। সেতুর ধার ঘেঁষে নেমে গিয়েছে পাথর বিছানো ৫০ মিটার পথ। সেই পথ দিয়ে রাতের অন্ধকারে গড়গড়িয়ে নেমে যায় বালি বোঝাই বারো চাকার একটি লরি। থমকে যায় আপ ও ডাউন লাইনের মাঝখানে। যে রাস্তায় চলাচল নিষেধ সেই রাস্তা দিয়ে সটান নেমে গেল একটি বারো চাকার লরি! কী করে? নিরাপত্তারক্ষী কোথায়? জাতীয় সড়কের মতো একটি স্পর্শকাতর রাস্তার ততোধিক স্পর্শকাতর বাঁকে কেন থাকবে না কোনও রেড সিগন্যাল? পুলিশই বা ছিল কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। নীরব প্রশাসন। রেল পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ট্রাক মালিকের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। লরির চালক পলাতক।