লকডাউনে পাতি শিল্পীদের বিকল্প জীবিকার রসদ জোগাচ্ছে শিয়ালমারী নদী

নিজামুদ্দিন সেখ – ডোমকল লকডাউন জেরে জীবিকা হারিয়েছেন অনেক শ্রমজীবি মানুষ। কিন্তু মুর্শিদাবাদের শিয়ালমারি নদী আজও পাতি শিল্পীদের জীবিকা রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে। ডোমকলের রঘুনাথপুর এলাকার শিয়ালমারা নদীর তীরে বাস করেন মুরালি সেখ। লকডাউন এর জেরে কাজ নেই তার , তাই নদী থেকে পাতি সংগ্রহ করে অল্প বিস্তর জীবিকার সন্ধান পাচ্ছেন তিনি , এই শিয়ালমারি নদীকে কেন্দ্র এখান পাতিশিল্পীদের বারোমাস্যা । বীজ বপন থেকে শুরু করে গাছ বেড়ে ওঠা এবং তারপর সবুজ পাতি সংগ্রহ করা সবেতেই যেন সক্রিয় সহযোগিতা করে এই শিয়ালমারি নদী।

গাছের রং অনুযায়ী পাতের গুণমান নির্ভর করে। প্রখর দুপুরে পাতি সংগ্রহের কাজ করে চলেছেন এখানকার পাতি শিল্পীরা। কাঁচা পাতি থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করেন সপ এবং সেইসব উৎপাদিত জিনিস গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে সামান্য উপার্জন করেন এখানকার পাতিল্পরা।
পাতি শিল্পী মুরালি শেখ জানান” তাদের জমিজমা না থাকার কারণে একমাত্র ভরসা পাতি শিল্প। মাঝে মাঝে তিনি নদীতে ঢু মারেন আর খুঁজে আনেন পাতি, নিজেও অল্পবিস্তর চাষ করেন।লকডাউনের এর মাঝেও বিকল্প জীবিকার সন্ধান তাকে করে যেতে হচ্ছে তাকে। ভালো পাতি সপ বিক্রি করে কমবেশি 500 টাকা রোজগার করেন তিনি এবং তাতে তার দারিদ্র্যের সংসারে কিছুটা সুরাহা হয়। এই আশাবাদ নিয়েই তিনি নদীর তীরে বাস করেন এবং শিয়ালমারি নদীকে কেন্দ্র করেই জীবিকা অনুসন্ধান করে চলেছেন।”