“গোষ্ঠী কোন্দল” তৃণমূলের জন্ম দাগ

স্বরূপ ভট্ট, বহরমপুরঃ বারবার ঐক্যের বার্তা দিয়েও গোষ্ঠী কোন্দলের দাগ মুছছে না তৃণমূলের ঘর দুয়োরে। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের মাত্র ১৭ আসনের একটা পঞ্চায়েত। সেখানে বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের মোট আসন সংখ্যা ৯টি। আর তাই দিয়েই বাম-কংগ্রেস জোট ডাহাপাড়া পঞ্চায়েত পরিচালনার ভার নিয়েছিল। সেই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সকলেরই মন উঠেছে নিজেদের দল থেকে। সে কথা এখন নিজেরাই বলছেন। তৃণমূলে গেলে পঞ্চায়েতবাসীর জন্য “কিছু করা যাবে” ভেবে তাঁরা শাসক দলে নাম লেখালেন। আর শাসক দলের নেতারাও যেন অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা এলেন, কিন্তু তৃণমূলের ‘আল’ ধরে এলেন। সোমবার দুপুরে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শাওনি সিংহরায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন ওই পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান। আর বিকেলে দলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবু তাহের খানের হাত ধরে দলে ফিরলেন কংগ্রেসের উপপ্রধান।

যা দেখে ‘থ’ হয়ে যান বর্তমান জেলার দায়িত্বে থাকা নেতারাও। কে বড়? আমরা না ওরা? এই বালখিল্যতা এখনও কাটেনি প্রবীণ নেতাদের? প্রশ্নটা করেই ফেললেন তাঁরা। যা একবারে হতে পারত তা হল দুটি পর্বে। অর্থ ব্যায় হল দু জায়গাতেই। “কে টেনেছে কাকে আগে” রাজ্য নেতাদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে “ইঁদুর দৌড়” দিয়েছেন দুই নেতাই। যা দেখে মনে মনে হাসছেন “অন্তর্যামী”। হেসে হেসেই বললেন বয়সে বড়ো এক রাজনীতির কারবারি। তাহের ও শাওনির মধ্যে সাপে নেউলের সম্পর্ক অজানা নয় তৃণমূলের কোনও স্তরেই। জেলায় দলীয় পদে না থেকেও ঐক্যের বার্তা দেওয়ার বদলে ফাটলের বার্তাবহক হলেন তাঁরা সদ্য দলে আসা তৃণমূলীদের কাছে। যার ফল হল ঘরের ভিতর আরও এক ঘর তৈরির নক্সা আঁকাই হয়ে গেল। সেই নক্সা ধরে অদূর ভবিষ্যতে শাওনির সঙ্গী হবেন ডাহাপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান আর তাহের অনুগামী হিসেবে ছক্কা –পাঞ্জায় অংশ নেবেন উপপ্রধান।