বহরমপুর থানা ঘেরাও ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বামেরা

সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। এদিন কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। এরই প্রতিবাদে এদিন বহরমপুরে বিক্ষোভে সামিল হলেন ডিওয়াইএফআই, এসএফআই ও খেতমজুর সংগঠনের সদস্যরা।

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ রাজ্য রাজনীতি উত্তাল সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে। এবারে সেই আঁচ এসে পৌঁছল বহরমপুরেও। রবিবার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরে বাম ছাত্র যুব সহ খেত মজুর সংগঠনের কর্মীরা। সন্দেশখালিতে বিক্ষোভের ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। এদিন কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি থানায় পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ককে। এরই প্রতিবাদে এদিন বহরমপুরে বিক্ষোভে সামিল হলেন ডিওয়াইএফআই, এসএফআই ও খেতমজুর সংগঠনের সদস্যরা।

রবিবার বহরমপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেয় বামেরা। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বাম ছাত্র যুব ও খেতমজুর সংগঠনের মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে বাম ছাত্র যুবরা। তখনই পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ছবি উঠে আসে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সড়ানোর চেষ্টা করে। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এদিন মিছিল থেকে সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, “কোনও কারণ ছাড়া মিথ্যে অজুহাতে গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপদ সর্দারকে। পুলিশ আসল দোষীদের না ধরে তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে। আর এর প্রতিবাদ করতে আসলে আমাদেরকেও হেনস্থা করছে পুলিশ। পুলিশ এই ব্যবহার নিন্দনীয়।”

রবিবার দুপুরে বামেদের জেলা পার্টি অফিস থেকে মিছিল করা হয়। মিছিল শেষ হয় বাসস্ট্যান্ড হয়ে বহরমপুর থানার দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ পথ আটকালে উত্তেজনা ছড়ায়।