সরকারি অনুষ্টানের মঞ্চে মন্ত্রী বিধায়কের পুত্র কন্যা, অসন্তোষ তৃণমূলেও, ডাক নেই অধীর, কাঞ্চনের

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  বহরমপুরে উদ্যান পালন বিভাগের রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান ঘিরে শুরু রাজনৈতিক বিতর্কে ।  সরকারি মঞ্চে ছিলেন  রাজ্যের উদ্যান পালন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার পুত্র । তিনি বক্তব্যও রাখেন।   নওদার বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খানের কন্যাও ছিলেন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে।  ঘটনায়  অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরেও।   দলের বিধায়কেররা অনেকেই  বিষোদগার করে মঞ্চ ছাড়েন অনুষ্ঠান শেষের আগেই ।  যদিও ক্যামেরার সামনে তাঁরা মুখ খুলতে চাননি । অন্যদিকে  বহরমপুরের বিধায়ক -সাংসদকে আমন্ত্রনই জানান হয়নি ।   এনিয়ে ক্ষোভ জানান বিরোধীরা।

বহরমপুরের সাংসদ ,  অধীর চৌধুরী বলেন, এরকম না করলে তৃণমূল দলের পরিচয় থাকতো ? ওরা যে সৌজন্য মানে না এটা তার প্রমাণ। এই প্রশাসনের কাছে আমরা কিছু আশা করি না। পরোয়া করি না।

এদিন বহরমপুরেই  ছিলেন বহরমপুরের বিধায়ক  সুব্রত মৈত্র ওরফে কাঞ্চন । সুব্রত মৈত্র বলেন, আজ এটা প্রথম নয়।  বিধানসভার রেজাল্ট বেরানোর পর থেকেই মমতা ব্যানার্জি গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছেন যে কোন সরকারি সভায় বিজেপি’র এমএলএ’দের ডাকা যাবে না। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা শুভ না অশুভ সেটা জনগণ ঠিক করবে। সুব্রত মৈত্র বলেন, এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা জানতাম। কিন্তু আমার কাছে কোন সরকারি চিঠি আসেনি । কোন কার্ডে আমার নামও নেই। দল পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যাপার। তাই নেতাদের ছেলে মেয়েরা স্টেজে।

ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারে খাদ্য পক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তরের সচিব সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলেন কেন বিরোধী সাংসদ বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানান হয়নি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।  উদ্যান পালন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহা অবশ্য বলেন, যারা উপস্থিত হয়েছে স্বস্ব পদে থাকা অবস্থায় এসেছেন। অভিযোগের জন্য অভিযোগ করা হচ্ছে। জেলার উন্নয়নের জন্য করা হচ্ছে না। এইসব কথা বলে জেলার উন্নয়ন পেছানো যাবে না।