চন্দ্রযান তিনের নেপথ্যে সামশেরগঞ্জের বিজ্ঞানীও ।

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চন্দ্রযানঃ ৩ চাঁদের মাটি ছুঁতেই খুশির হাওয়া দেশজুড়ে। গর্বে ভাসল মুর্শিদাবাদ জেলাও। বুধবার ভারতীয় সময় ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করে চন্দ্রযানঃ ৩। সাথে সাথেই অনন্য ইতিহাস রচনা করে ভারত। আর এই ইতিহাস রচনার নেপথ্যে কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) শতাধিক বিজ্ঞানী। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের মহব্বতপুর গ্রামের বাসিন্দা তোসিকুল ওয়ারা। বর্তমানে ইসরোর সিনিয়র প্রিন্সিপাল পদে কর্মরত বিজ্ঞানী তোশিকুল ওয়ারা ‘চন্দ্রযানঃ ৩’ -এর গ্রাউন্ড চেকআউট ডিভিশনাল (জি.সি.ডি)-র প্রধান ছিলেন। ১৯৯১ সালে জুনিয়ার সাইন্টিস্ট হিসাবে ইসরোতে যোগ দেন তোসিকুল। তোসিকুলের হাত ধরে দেশের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবার তথা সামশেরগঞ্জবাসীও।

বিজ্ঞানী তোসিকুল ওয়ারার দাদা রফিকুল ওয়ারা, যিনি সামসেরগঞ্জেরই একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি জানান ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তোসিকুল। সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে, বহরমপুরের কে.এন কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপরে কলকাতার রাজাবাজার সাইন্স কলেজ থেকে বি.টেক ও এম.টেক পাশ করেন। সাথে সাথেই ১৯৯১ সালে ISRO তে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে যোগ দেন তোশিকুল ওয়ারা। প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে সেখানেই কর্মরত তিনি। সামলেছেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল হিসাবে ইসরোর দায়িত্বভারও।

২০২৩ সালের ১৪ই জুলাই দুপুর ঠিক ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে পারি দিয়েছিল চন্দ্রযানঃ ৩। সেই মিশনে, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেইক্যল (PSLV) নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানী তোসিকুল ওয়ারা। ‘চন্দ্রযানঃ ৩’ -এর গ্রাউন্ড চেকআউট ডিভিশনাল (জি.সি.ডি)-র প্রধান ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার (২৩ আগস্ট) ১ মাস ৯ দিন বাদে, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করল চন্দ্রযানঃ ৩। যার নেপথ্যে ইসরোর শতাধিক বিজ্ঞানীর পাশাপাশি রয়েছেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের মহব্বতপুর গ্রামের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী তোসিকুল ওয়ারা।