তৃণমূল নেতাদের জেলে পাঠানোর সুকান্ত বাণী ওড়ালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী, দলের কোর্টে বল ইমানির

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ লোকসভা ভোটের ঘোষণা না হলেও ভোট ঘিরে রাজনীতির কুশীলবদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বাকযুদ্ধ। এ বলে আমাকে দেখ সে বলে তাকে দেখতে।মকরসংক্রান্তির দিন মুর্শিদাবাদে তাপমাত্রার পারদ যখন নিম্নগামী তখন ওই জেলায় ঊর্ধমুখী রাজনীতির পারদ।

দিন কয়েক আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লোকসভা নির্বাচনের অভিমুখ ঠিক করে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে।সেই দিক অনুসরণ করে রবিবার মুর্শিদাবাদ সফরে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।বিরোধী দলের রাজনৈতিক শর্তানুসারে স্বাভাবিকভাবেই সোমবার একেবারে উত্তরে জঙ্গিপুরে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। সুতির সাদিকপুরের জনসভায় নাম করে সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন, রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন “ প্রত্যেক চোর জেলে যাবে।এক একজন মহাপুরুষের বাস এই জেলায়। ইমানি মারল বোম জাকিরের পা হল জখম।”

যা শুনে রাজ্য বিদ্যুৎ রাষ্ট্রমন্ত্রী আখরুজ্জামান বলেন, “ জাকির হোসেনের উপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে তার তদন্ত করছে এনআইএ। সেই ঘটনায় যুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কেউ সুকান্ত মজুমদারের মতো ইমানিকে দোষী করেনি। তাহলে কি সুকান্তের নামে মামলা হবে না কি অমিত শা পদত্যাগ করবেন?”

এরপরেই তিনি বলেন, “ভোটের হাওয়া গরম করতে বিজেপির নেতারা জেলায় আসছেন্ম। যদি জানতাম এই রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গিপুর, সুতির জন্য তাঁর দল তথা কেন্দ্র কিছু কাজ করেছে তার তথ্য তুলে ধরে জনসভায় ভোট ভিক্ষা করছেন তাহলে না হয় ওদের কথার দাম থাকতো। ওসব সিবিআই, ইডির ভয় দেখিয়ে কিছু হয় না।” দলের কোর্টে বল ঠেলে ইমানি অবশ্য বলেন, “ এব্যাপারে যা বলার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলবে।” ফোন ধরেন নি জাকির হোসেন।