রবিবার লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় চলবে না এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন, বিঘ্ন হবে যাত্রা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ ফের লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় রবিবার সকাল বিকেল মিলিয়ে ছ’টি ট্রেন চলবে না। বেলডাঙা ও রেজিনগরের মধ্যে ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লক থাকার কারণে আপ ও ডাউন ট্রেন মিলিয়ে মোট তিন জোড়া ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিসন। বেশ কিছু ট্রেনের সফর সূচী সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দেরিতে চলাচল করবে সেগুলিও। প্রায় দশ ঘন্টা কৃষ্ণনগর শিয়ালদা শাখায় সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে নির্মাণের কাজে ব্যাঘাত না ঘটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে, রেল সূত্রের খবর। একই কারণে গত রবিরারেও ট্রেন চলাচল না করায় নাকাল হতে হয়েছিল যাত্রীদের।

বহরমপুরে দৈনিক বিকেল পাঁচটায় লালগোলা যাওয়ার ০৩১৮৩ আপ ও বহরমপুরে দৈনিক সকাল দশটা ২৬ মিনিটে শিয়ালদা যাওয়ার ০৩১৯০ ডাউন ট্রেন দুটি বাতিল হয়ছে। একইভাবে লালগোলা থেকে কলকাতা যাওয়ার ০৩১৯৪ ডাউন মেমু ট্রেনের সঙ্গে বাতিল হয়েছে কলকাতা থেকে লালগোলা যাওয়ার ০৩১৯৩ আপ মেমু ট্রেন। কলকাতা যাওয়ার ডাউন ট্রেনটি সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বহরমপুর থেকে প্রতিদিন ছাড়ে। আর কলকাতা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পাঁচ মিনিটে বহরমপুরে পৌঁছায় আপ ০৩১৯৩ ট্রেনটি। আপ ডাউন মিলিয়ে। আরও দুটি ইএমইউ ট্রেন ০৩১৪৩ আপ ও ৩১৭৬৮ ডাউন বাতিল হয়েছে। ট্রেন দুটি লালগোলা থেকে রানাঘাট ও রানাঘাট থেকে লালগোলা পর্যন্ত দৈনিক যাতায়াত করে।

এছাড়াও আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস (১৩১১৩), ৩১৮৮৬১ কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা যাওয়ার, ৩১৭৬৯ ও ৩১৭৭১ রানাঘাট থেকে লালগোলা যাওয়ার ট্রেনগুলি রবিবার পলাশী পর্যন্ত যাতায়াত করবে। লালগোলা যাবে না। আবার রানাঘাট থেকে সকাল ৯টা ২২মিনিটে যে ৩১৭৭৩ আপ মেমু ট্রেনটি ছাড়ে সেটি পলাশিতে এসে থামবে। সাধারণত ট্রেনটি পলাশিতে ১০.৫০ মিনিটে পৌঁছায়। রেল জানিয়েছে, পলাশি থেকে ফের ১১.১৫ মিনিটে রানাঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে শুধুমাত্র রবিবারেই। আবার শিয়ালদা-লালগোলা ০৩১১৫ আপ ইএমউ ট্রেনটি পাওয়ার ব্লক থাকার কারণে রানাঘাটেই তার যাত্রা শেষ করবে। একইভাবে ০৩১৯৮ ডাউন ইএমউ ট্রেনটি রানাঘাট থেকে ছাড়বে। তবে কখন সেটি রানাঘাট থেকে ছাড়বে সে কথা জানায়নি রেল। একইভাবে মেমু ০৩১৯৬ ডাউন লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রানাঘাট থেকে ছাড়বে। গত রবিরারেও পূর্ব রেলের এই শাখায় দশ ঘন্টা ট্রেন চলাচল করেনি। ওই দিন ট্রেন সময়মতো আসা যাওয়া না করায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের, জানান ডেলি প্যাসঞ্জাররা।

ট্রেনকে সাধারণ মানুষের “লাইফ লাইন” বলা হয়। একটা দিন সেই ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে অসুবিধার পাশাপাশি যাতায়াতের খরচা বেড়ে যায় বলে জানান পেশায় শিক্ষক রবিউল আলম। তিনি বলেন, “রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় স্কুল যেতে হবে না। কিন্তু চাকরিজীবী ছাড়াও অল্প পয়সায় যাতায়াত করা যায় বলে সাধারণ মানুষ ট্রেনকেই বেছে নেন। বিশেষ করে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মুর্শিদাবাদ কলকাতার ওপর নির্ভরশীল। ট্রেন বন্ধ থাকলে সেই সব মানুষজনের কষ্ট বেশি হয়। খরচও বাড়ে।” তবে রেলের উন্নতির জন্য এই অসুবিধা মানুষকে মেনে নিতে হবে বলেও দাবি করেন ডেলি প্যাসেঞ্জার রবিউল। তবে সাধারণ মানুষের হয়রানির জন্য রেল অবশ্য আগাম ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞাপণও দিয়েছে।