Loksabha Election: মুর্শিদাবাদ লোকসভায় একই দিনে সেলিম, মিনাক্ষী, আভাস

Loksabha Election:  লোকসভা ভোটে সিপিএমের নজরে এবার মুর্শিদাবাদ আসন । ভোট ঘোষণার আগেই ময়দানে সিপিএমও। কর্মীদের চাঙ্গা করতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বেশ কয়েক মাস ধরেই ডোমকল মহকুমায় পরপর বড় কর্মসূচী নিতে দেখা গিয়েছে সিপিএমকে। মিনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহাদের নেতৃত্বে ইনসাফ যাত্রাও তিন ধরে টানা হেঁটেছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানগোলা থেকে হরিহরপাড়া। এবার লোকসভা ভোটের মুখে একই দিন তিন হেভিওয়েট নেতাকে দিয়ে সভা, মিছিল করবে সিপিএম। এই তিন জনই ছিলেন সম্প্রতি হওয়া ব্রিগেড সমাবেশের বক্তা। তাই, ৩ এ ৩ , বলছেন কর্মী সমর্থকরা।

আরও পড়ুনঃ Lok Sabha Election:  লোকসভায় মুর্শিদাবাদে কোন আসনে লড়বে কে ?

বৃহস্পতিবার ইসলামপুরে আসবেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ( Md Selim) । লোচনপুর শিশাপাড়া থেকে হাড়িভাঙা পর্যন্ত পদযাত্রা করবে সিপিএম। সেই পদযাত্রায় হাঁটবেন মহম্মদ সেলিম। ইসলামপুর এক নম্বর ব্লকের এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছিল সিপিএম। সেই এলাকা দিয়ে সেলিমকে হাঁটিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে সিপিএম।
একইদিনে ডোমকলে এই মহকুমার ডিওয়াইএফআও’এর নেতাকর্মীদের নিয়ে হবে নির্বাচনী কর্মশালা। ভোটের ময়দানে যুবক যুবতীরা কীভাবে লড়াই করবেন, সেই ক্লাস নেবেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী (Abhas Roychowdhury) , ডিওয়াইএফআই’এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখার্জি (Minakshi Mukherjee ) , রাজ্যসভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। তিন জনেই বক্তব্য রেখেছেন ডিওয়াইএফআই’এর ব্রিগেড সমাবেশেও। সমাবেশের পর মিছিল হবে ডোমকলে। এই কর্মসূচী থাকবেন জেলা সিপিএম নেতারাও।

মুর্শিদাবাদ লোকসভাকেন্দ্রের হরিহরপাড়াতেও কর্মীসভা করবে সিপিএম। সেই সভায় বক্তব্য রাখবেন মহম্মদ সেলিম। এরপর হরিহরপাড়াতেও হবে মিছিল।
সংখ্যালঘু নিবিড় মুর্শিদাবাদ লোকসভাকে এবার টার্গেট করছে সিপিএম। এই সময় এই লোকসভা ছিল বাম ঘাঁটি ।
১৯৮০ সালে এই লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন সিপিএমের মাসাদুল হোসেন। মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই সাংসদের। ১৯৯৮ সালে তার মৃত্যুতে আসন খালি হলে এই আসন থেকে জয়ী হন মইনুল হাসান। ২০০৪ সালে যদিও কংগ্রেসের মান্নান হোসেনের কাছে হারেন তিনি। পরে তৃণমুলে যোগ দেন মান্নান, মইনুল দুজনেই। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বামেরা এই রাজ্য থেকে প্রায় মুছে গেলেও মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে জয়ী হন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। সেবার রায়গঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। ২০১৯ সালে যদিও এই কেন্দ্রে ফোটে ঘাসফুল। জয়ী হন তৃণমূলের আবু তাহের খান।

আরও পড়ুনঃ Abhijit Gangopadhyay: জনগণের দরবারে বিচারপতি, বহরমপুরে দিয়েছিলেন ইঙ্গিত

সেবার বিজেপি প্রার্থী করেছিল তৃণমূল ছেড়ে আসা হুমায়ুন কবীরকে। এই আসনে প্রার্থী দিইয়েছিল কংগ্রেস, সিপিএম দুই দলই। এবার যদিও রাজ্যে সিপিএম কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আর সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দুজনের মুখেই শোনা গিয়েছে জোটের বাণী । অধীর নিজে জানিয়েছেন, সেলিমের সাথে আলোচনার কথা।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কাছে মুর্শিদাবাদ আসন দাবি করছে সিপিএম। বামেরা এই আসনে প্রার্থী করতে চায় দলের শক্তিশালী কোন নেতাকে। মুর্শিদাবাদ আসনের বিনিময়ে কংগ্রেসকে অন্য দুটি আসন ছাড়তে রাজি বামেরা। একই সাথে বহরমপুর আসনে রয়েছে নিঃশর্ত সমর্থনও।
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হলেও এই লোকসভা আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ে ফিরেছে বামেরা।
মনোনয়ন জমার প্রথম দিনেই সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি দেখা গিয়েছে রানিনগর ১ ব্লকে। পরদিন ডোমকলেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। সিপিএম সূত্রের দাবি, রানিনগর, ডোমকলের ঘটনা রাজ্যের কর্মীদের মধ্যে সাহসের সঞ্চার করেছে। রানিনগর ২, জলঙ্গী, ডোমকল ব্লকে বেশকিছু পঞ্চায়েতও দখল করেছে সিপিএম, কংগ্রেস। একসাথে দখল করেছেন রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতি। এই সময়ে নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ সিপিএম।

রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেলিম, মিনাক্ষীদের মিটিং মিছিলে ভিড় বাড়িয়ে কংগ্রেসকেও নিজেদের শক্তি দেখাতে চাইছে সিপিএম। যাতে সহজ হয় সিট নিয়ে দামাদামি।