বিড়ি মহল্লায় রাহুল গান্ধী ! আক্রমণ তৃণমূলের কংগ্রেসের

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ ভারত জোড় ন্যায় যাত্রার মাঝে রাহুল গান্ধীর বিড়ি মহল্লায় যাওয়া নিয়ে এবার রাহুলকে নিশানা করল তৃণমূল। পালটা কী দাবি কংগ্রেসের ? রাজনীতির চাপানউতর পেড়িয়ে দিন ফিরবে বিড়ি শ্রমিকদের ? ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ভারত জোড় ন্যায় যাত্রার মাঝেই বিড়ি মহল্লায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

বিড়ি শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছেন মজুরি থেকে শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে। এবার সেই বিড়ি ইস্যুতেই কংগ্রেসকে নিশানা করল তৃণমূল। শুক্রবার কলকাতার সভা থেকে বিড়ি শ্রমিকদের সাথে রাহুলের তোলা ছবিকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, “এখন ইলেকশন এসেছে তাই বসন্তের কোকিলদের ছবি তোলা চলছে। যারা বাচ্চাদের আদর করেই নি, যারা চা বানাতে জানেই না, বিড়ি বাঁধতে জানেই না কখনও। বিড়ির বদলে অন্যকিছু খায় হয় তো। সেই প্রসঙ্গে আমি কিছুই বলছি না।”

বৃহস্পতিবার সুতির মধুপুরে বিড়ি শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে আলাপচারিতা। শ্রমিকরা রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছেন অভাব অভিযোগের কথা। সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রচার সেই কথাও তুলে ধরেছে কংগ্রেস। বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

এই বিষয়ে বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, “এটা ভাওতা ছাড়া আর কিছুই না। ১৯৪৭ সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতা পায়। তারপর থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। এবং তখনও বিড়ি শ্রমিক ছিল। পরিসংখ্যান বলছে ১৯৭৭ সালে যখন কংগ্রেস সরকার বাংলা থেকে বিদায় নেই এবং সিপিআইএম ক্ষমতায় আসে। তখন বিড়ি শ্রমিকদের বেতন ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। তখন কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার ছিল। তখন কেন কোন রকমের আইন করে যাননি এই বিড়ি শ্রমিকদের জন্য।” ২০১১ সাল থেকে পরিবর্তন আসা শুরু হয় বিড়ি শ্রমিকদের জন্য বলে দাবি আমিরুলের। তিনি জানান, “২০১১ থেকে ২১ অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ১২৬ টাকা। বুঝতে হবে বিড়ির মজুরি কংগ্রেস এবং সিপিআইএম-এর সময় কত ছিল এবং এখন কত রয়েছে।”

মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করছেন অধীর চৌধুরীও। তিনি জানান, “ যদি রাহুল গান্ধীর পরিবারের তরফ থেকে এত কিছু পাওয়ার পরেও এই অবস্থা হয়। তাহলে বাংলার মানুষকে উনি কীভাবেন? কয়েকদিন আগেই উনি দিল্লী, ব্যাঙ্গালুরুতে উনি গিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ছিলেন। তারপরেও এই রকম কথা কীভাবে বলছেন সেই নিয়ে খবু বড় প্রশ্ন থাকছে। একমুখে দুই কথা ওঁনার।”

২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সাগরদিঘিতে এসে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানান, “৯০০ বিড়ি বাঁধলে আগে বিড়ি শ্রমিকরা যেটা পেতেন তার থেকে বাড়িয়ে ২৩০ বা ২৪০ করে দেব।” তবে প্রায় এক বছর কাটতে চললে ও বাড়েনি মজুরি। এবার রাহুল সফলে ফের উঠে এল বিড়ি শ্রমিকদের প্রসঙ্গ। ভোটের আগে কী ভাগ্য ফিরবে বিড়ি মহল্লায় ? বাড়বে মজুরি ? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।