সবাই মিলেই কিশোরীদের বিয়ে আটকাতে হবে

জি আলজিয়া  আকতার ,  হরিহরপাড়াঃ মেয়েটি পড়তে চেয়েছিল। কিন্তু তার বিয়ে হয়ে গেল। এরকম ঘটনাই ঘটল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। ওই কিশোরীর বয়স ছিল ১৮ বছরেরও কম। কিন্তু এতে ক্ষতি হল কার ? বিয়ে হওয়া মেয়েটির। এই কথা বলছে মেয়েটির বন্ধুরাও। এখনও গোপনে বাল্য বিবাহ ঘটছে এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। আসলে বাল্য বিবাহে মেয়েদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ( সিএমওএইচ)  ডাঃ সন্দীপ সান্যাল  জানিয়েছেন, “কম বয়সে বিয়ে হলে সেটা খুব ভয়ের। এতে কিশোরীদের মা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। মা ও শিশুর দুজনেরই এতে ক্ষতি হয়।”  বাল্য বিবাহ যে খারাপ সেটা জানিয়েছেন  হরিহরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার শাসমল।  প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ”বিয়ে হওয়ার পরে মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দিতে হচ্ছে এটা কষ্টের। তবে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে এই  বাল্য বিবাহ রোধ করার চেষ্টা আমরা করছি”। তবে এই কাজে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ।

সকলেই বলেছেন, কম বয়সে মা হওয়ার অনেক ঝুঁকি। প্রতিবেদক গ্রামে ঘুরে দেখেছেন, পরিবারে কিশোরী মায়েরা সঠিক পুষ্টি পাচ্ছেন না। মুর্শিদাবাদ জেলার সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যাল বলেছেন, “ গর্ভবতী মায়েদের এক বেলা বেশী খাবার  খাওয়া উচিৎ”।  কিন্তু সেটা সবাই পাচ্ছেন না। এর ফলে মা আর শিশু দুজনের শরীরের ক্ষতি হচ্ছে।  মায়েরা  এর ফলে কম ওজনের শিশুর জন্ম দিচ্ছে। তবে বাল্য বিবাহ রোধ করলে তবেই কম বয়সে মা হওয়া বন্ধ করা যাবে। হরিহরপাড়া গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী  বলেছে, “ বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে”।

( জি আলজিয়া  আকতার হরিহরপাড়া হাইস্কুলের ছাত্রী। তিনি একজন কমিউনিটি ইয়ুথ রিপোর্টার)