বীরভূমে কোটি টাকার হাতির দাঁত পাচারের আগে গ্রেপ্তার ৩

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ আগে হাতির দাঁত শিল্পের কাজ ছিল জগৎ বিখ্যাত। বহুমূল্য এই সামগ্রী রপ্তানি করা হত দেশ বিদেশে। ফলে সেই সময়ে হাতির দাঁত অবৈধ পাচারকারির সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এবং পশুহত্যার ঘটনাও ঘটেছিল অনেক। পরে ১৯৭২ সালে ভারত সরকার আইন পাশ করে এই হাতির দাঁতের আমদানি রপ্তানিকে বেআইনি ঘোষণা করে।

এবারে বীরভূম থেকে উদ্ধার হল আনুমানিক কোটি টাকার হাতির দাঁত। হাতে-নাতে তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল রামপুরহাট বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের দুটি হাতির দাঁত। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটিতে। ধৃত পাচারকারীদের নাম রবি রঞ্জন সাহা, সুখেন্দর মুর্মু ও শঙ্কর রায়। তাঁদের একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের এবং দুজনের বাড়ি ঝাড়খন্ডের পাকুর এলাকায়। ঝাড়খন্ডের বনদপ্তরের আধিকারিক ও বীরভূমের বন দপ্তরের আধিকারিকরা একজোটে বুধবার বিকেলে বীরভূমের নলহাটিতে হানা দেন। নলহাটির ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হোটেলে হাতির দাঁত কেনা বেচা চলছিল পাচারকারীরা বলে অভিযোগ।

রামপুরহাটের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সৌরিশ কুমার সাধু জানান, “ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে বারবার আমাদের কাছে খবর আসছিল। যে এমন কোন একটি পাচারকারী দল চেষ্টা করছে হাতির দাঁত বিক্রি করার। এর আগে ২০২২ সালে ধরা হয়েছিল তিনজনকে। এবং এবারেও তিনজন পাচার করার চেষ্টা করছিল। আমরা অতর্কিতে হানা দিয়ে তা ভেস্তে দিই।” এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একটি ঝাড়খণ্ড নম্বর প্লেটের গাড়ি। বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান বীরভূমে নলহাটির কাছে কোথাও বিক্রি করা হত এই দাঁতগুলি। কিন্তু কারা সেই বেআইনি ব্যবসায়ী? তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ধৃতদের ১৮ তারিখ রামপুরহাট কোর্টে পেশ করা হয়। সেখানেই তিন পাচারকারীকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। দিনের আলোয় এত বড় পাচার আটকাতে পেরে খুশি বন দফতর। ব্ল্যাক মার্কেটে কোটি টাকা দাম উঠত বলে দাবি আধিকারিকদের।