আইনি জটিলতা থেকে শিশুদের মুক্ত করতে ভাবনা রাজ্যের

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ গুরুদন্ড নয় শিশুদের। অনেক সময়েই বিভিন্ন  অপরাধ করে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শিশুদের। এতে অত্যন্ত  নেতীবাচক প্রভাব পড়ে শিশুমনে।   অপরাধের জাল থেকে শিশুদের মূল স্রোতে  ফেরাতে চায় রাজ্য। অভিযুক্ত শিশুদের জন্য  আইনি প্রক্রিয়া নয়, শিশুদের জন্য বিকল্প পরিসর তৈরী করতে হবে।   দেশে  প্রথম   পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে এই বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করল রাজ্য সরকার। ইউনিসেফ এবং রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন যৌথভাবে এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।

২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিল অ্যাক্ট Juvenile Justice Act অনুসারে লঘু অপরাধে অভিযুক্ত শিশুকে আইনি বিচারের জটিল প্রক্রিয়ার বাইরে আনা যায়।  সমাজকর্মীরা এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ পালন করতে পারেন । শিশুকে পরিবারের সান্নিধ্যে বা কোন বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সংস্থার কাছে রাখা হয়।    এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে  ইউনিসেফ UNICEF  ও ডাব্লুবিসিপিসিআর’ WBCPCR এর আলোচনায়  রাজ্যের শিশু নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “ শিশুদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে না। বিশেষ শিশুসুরক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের পাঠানোও বাধ্যতামূলক নয়। পরিবারের কাছে শিশুদের ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। চেষ্টা করা হবে যাতে তাদের কল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত করে   সুরক্ষিত  রাখা যায়”।

শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজে পুলিশ, প্রশাসন ও শিশু বিষয়ক কাজে জড়িত  বিভিন্ন  সংস্থার  সচেতনতা বাড়ানো হবে।উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ছোটখাটো অপরাধ করেও যন্ত্রনাদায়ক বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শিশুদের। ট্রমার কারণে সংশোধনের কোন রাস্তাও খোলা থাকে না। ফের একই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে তারা”।  ফের করে শিশুরা”।এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপরি অনান্যা বন্দোপাধ্যায় । তিনিও বলেন, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের উচিত  শিশুদের সাথে জড়িত মামলাগুলি সহানুভুতির সাথে বিচার করার।   মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই কাজ শুরু করবে ইউনিসেফ ও রাজ্য সরকার।

পশ্চিমবঙ্গে ইউনিসেফের প্রধান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (Mohammad Mohiuddin)  বলেন, “ বিগত বছরগুলিতে আমরা দেখেছি, শিশুদের পুলিশি বিচার প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করাটাই যথেষ্ট কাজ নয়। শিশুদের জন্য দরকারি বিভিন্ন পরিষেবা, নজরদারি এবং মানসিক-সামাজিক সমর্থনও নিশ্চিত করতে হবে।   এই কাজের জন্য পরিকল্পিত ভাবেই এগতে হবে”। উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ডাব্লুবিসিপিসিআর’এর চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ও।