সিপিএম নেতাদের জেলে পাঠাল আদালত

বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তিন নেতা শাহানাজ ইসলাম, শাহাদালি সেখ ও জামাল হোসেনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে বাকিদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ আইন অমান্য আন্দোলনে ধৃত নেতাদের শুক্রবার জামিন দিল না আদালত।  উল্টে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বহরমপুরে সিপিএমের কৃষক ক্ষেত মজুরদের আইন অমান্য ঘিরে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি হয়েছিল বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড় এলাকা। পুলিশের সাজানো কাঠের ব্যারিকেড টপকাতে গিয়ে তাদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় দলের  নেতা কর্মীদের। পরিস্থিতি হাতের নাগালে আনতে পুলিশকে পাঁচটি টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। পুলিশের অভিযোগ, সেদিনের জমায়েত থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইঁট ছোড়া হয়। ইটের আঘাতে দু’জন পুলিশ কর্মী আহত হয়। পরিস্থিতির জন্য দায়ি করে ২০ জন সিপিএম নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ ১৩টি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পনেরো জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি পাঁচজনের এখনও খোঁজ পায় নি বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। যদিও ইট ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন সিপিএম নেতারা। পাল্টা পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের প্রভাবে সিপিএম কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

পরের দিন বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তিন নেতা শাহানাজ ইসলাম, শাহাদালি সেখ ও জামাল হোসেনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে বাকিদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আজ শুক্রবার পুলিশ হেফাজত শেষে তিন নেতাদের ফের আদালতে হাজির করে বহরমপুর থানার পুলিশ। সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতী সরকার বলেন, “ধৃত ১৫ জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২৮ তারিখে  তাদের ফের আদালতে তোলা হবে।”  তার আগে ২৬ তারিখ আদালতে পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এদিন আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত খেতমজুর ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামাল হোসেন তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ওরা পুলিশ দিয়ে ভাবছে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার মতো এবারের লোকসভা নির্বাচন জিতবে। সেটা মুর্শিদাবাদে অন্তত হবে না।”