নিজস্ব সংবাদদাতা, মধ্যবঙ্গ নিউজঃ যে পুলিশ রক্ষক। সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে। শুক্রবার রাতে নবগ্রাম থানায় মৃত্যু হয় সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষের । আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ এনেছিল পরিবার। রবিবার থানায় দায়ের হল লিখিত অভিযোগ। চুরির ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাত থেকে আটকে রেখেছিল ওই যুবককে। কোর্টে না পাঠিয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছিল যুবককে ? উঠছে প্রশ্ন।
২৯ জুলাই চুরি হয় নবগ্রামের সিঙ্গার গ্রামে এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে। সেই চুরির তদন্তে নেমেই আটক করা হয়েছিল পেশায় দিনমজুর গোবিন্দ ঘোষকে। পরিবারের অভিযোগ, থানার লকআপে চলছিল মানসিক নির্যাতন, মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য দেওয়া হচ্ছিল চাপ। পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার পুলিশের মারধরেই প্রাণ গিয়েছে ওই যুবকের।
পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে পুলিশও। নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভকত ও যে মামলায় যুবককে আটক করা হয় সেই মামলার তদন্তকারী অফিসার শ্যামল মন্ডলের বিরুদ্ধ খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবকের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ। গ্রামবাসীদের প্রবল ক্ষোভের মুখে শনিবারই ওই দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্বজন হারা পরিবারের প্রশ্ন, কেন আটকে রাখা হয়েছিল নিরহীর যুবককে ? অভিযোগ, পুলিশের দিকেই।
মৃত যুবকের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ জানিয়েছেন, ২রা আগষ্ট ২০২৩, বুধবার, সন্ধ্যা ৬ টার সময়ে বাড়িতে আসে পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ছেলেকে। তখন থেকেই আটকে রাখা হয়েছিল লকআপে। শুক্রবার বিকেলে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে ছেলের সাথে দেখাও করেন তিনি। ষষ্ঠী ঘোষের দাবি, ছেলে জানিয়েছিল মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল পুলিশ। করা হচ্ছে মানসিক, শারীরিক অত্যাচার। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ফোনে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান নি। নবগ্রাম হাসপাতালে গিয়ে দেখেন , ছেলের নিথর দেহ । কেন খুন করা ছেলেকে ? কেন নিয়ে যাওয়া হয় নি আদালতে ? প্রশ্ন যুবকদের বাবার।